
বাবা হারানোর শোকে এখনো কাতর অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বিরতি নিয়েছিলেন কাজ থেকে। শোক একটু করে কাটিয়ে উঠছেন। এবার কাজে ফেরার পালা। এই ফেরাতেও বাবার সঙ্গে রয়েছে তাঁর অনেক স্মৃতি। সেগুলো ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে আবেগে চোখের জলে ভাসলেন এই অভিনেতা।
বাবার সঙ্গে চঞ্চলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। বাবা পাবনায় থাকলে প্রায়ই ছুটে যেতেন গ্রামের বাড়িতে। মা–বাবার সঙ্গে সময় কাটাতেন। কখনো এই অভিনেতা একসঙ্গে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে আসতেন। বাবার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো ছিল অনেক স্মৃতিবিজড়িত। নিয়মিত মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ হতো। দেশের বাইরে শুটিংয়ে গেলেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা চাই। চঞ্চল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যখনই কোনো কাজে দেশের বাইরে যাই, প্লেন ছাড়ার আগে মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিদায় নিই। আজও যাচ্ছি, কিন্তু…আর কোনো দিন বাবাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করা হবে না, বাবা, তোমার জন্য কী আনব?’

চঞ্চলের বাবার সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিল চেইনের হাতঘড়ি। চঞ্চল লিখেছেন, ‘বাবার একটাই উত্তর থাকত, চেইনের ঘড়ি। শেষবার বাবার জন্য পছন্দ হয়েছিল বলে একসঙ্গে দুটো ঘড়ি এনেছিলাম। ঘড়ি দুটো আর বাবার হাতে দেওয়া হয়নি, তার আগেই বাবা সকল সময়ের হিসেব–নিকেশ মিটিয়ে আকাশের তারা হয়ে গেল। জাগতিক সময়ের বেড়াজাল পেরিয়ে আমাদের বাবা অসীম সময়ের যাত্রী হয়ে গেলেও, বাবার ঘড়ির কাঁটাগুলো এখনো টিকটিক করে আমারই ঘরে।’ চঞ্চল চৌধুরীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাধা গোবিন্দ চৌধুরী। গত ২৭ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।