বড়লেখায় বাড়ি থেকে গরু সরিয়ে শিক্ষকের উপর মামলা, অতপরঃ গরু উদ্ধার

- আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

মোঃ জাকির হোসেন (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকা দম্পতির পরিবারকে একটি সিন্ডিকেট একটির পর একটি সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদী বর্গা গরু এনে বাড়ি থেকে সরিয়ে শিক্ষক দম্পত্তি ও তার পরিবারের উপর মামলা করে
চরম বেকায়দায় পড়েছেন।গরু দুটি সরিয়ে মামলা করেন বিভিন্ন জায়গা গরু রাখেন পরে স্হানীয় জনতা গরু উদ্ধার করে সহ শিক্ষক আপ্তাব আলী বড়লেখা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন । এর পর থেকে বিদী বাড়ি ছাড়া। গঠনাটি নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় চলছে।
মামলা ও সরেজমিন গজভাগ গ্রামে গিয়ে তছলিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সহ
এলাকাবাসী সুএে জানা যায় শিক্ষক আপ্তাব আলী ৪৫), ও শিক্ষিকা বদরুন্নেসা( ৪০)
ও তার পরিবারের অন্য সদস্য আত্নীয় স্বজন দের উপর একটির পর একটি মিথ্যা সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। শিক্ষক আপ্তাব আলী ও শিক্ষিকা বদরুননেছা দম্পতি তার পরিবারের ছেলে আত্নীয় স্বজনের উপর বড়লেখা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে বড়লেখা উপজেলার গজভাগ গ্রামের বাবলু মিয়া স্ত্রী সুজি বেগম শিক্ষক আপ্তাব আলী এর ছেলে কারিফ আশরাফকে প্রদান আসামি করে তার পিতা মাতা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হামলা মারধরের অভিযোগ এনে বড়লেখা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট জিয়াউল হকের আদালতের মামলা করেন মামলা নং ৪৬/২৩ তারিখ গঠনার তারিখ দিয়েছেন ২৭ জানুয়ারি। এ ঘটনার ৪ দিন পর সুজি বেগমের শাশুড়ী হাওয়া বেগম( ৫৫) তিনি ও বড়লেখা জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন যার নং ১৫/০৫/তারিখ ৩১ জানুয়ারি অভিযোগে উল্লেখ করেন শিক্ষক আপ্তাব আলী শিক্ষিকা বদরুন নেছা দম্পতি ২ ছেলে ফারদিন মাশরাফি, কাইফ আশরাফ সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে জোর পূর্বর তাদের গাভী ও বাছুর নিয়ে যান ও গরুর খাবার খড় জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনেন এলাকার অনেকে জানান বাবলুর কোন গরু ছিলো না প্রায় ২ বছর আগে গজভাগ গ্রামের ইয়াছিন আলী প্রবাসীর স্ত্রী রানু বেগমের কাছ থেকে একটি গাভী বর্গা নেন এ গাভীর একটি বাচুর হয় গাভী ও বাছুর বাবলু মিয়া বাড়ি থেকে গরু সরিয়ে বিভিন্ন জায়গার রেখে ও বাড়ির গরুর খড় জ্বালিয়ে শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিন সহ তাদের পরিবারের ১০ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
১৩ জানুয়ারী শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিন জোর পূর্বক নিয়ে গেছে মামলার বাদী হাওয়া বেগমের ছেলে বাবলু প্রবাসী ইয়াছিন আলী স্ত্রী রানু বেগম নিকট গরু দুটি দেন।
এ ব্যাপারে প্রবাসীর স্ত্রী রানু বেগম ও শশুড় হাসিম উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা দু জন বলেন আমাদের গ্রাম গজভাগের বাবলু গরু নেই ২ বছর আগে আমরা ১ টি গাভী কিনে তার কাছে বর্গা দেই ১০ জানুয়ারি বাবলু রাতে গরু ও বাছুর নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে দিয়ে যায় এবং বলে পরে এসে লেনদেন শেষ করবে এখন শুনি আমার গরু দিয়ে মাষ্টার ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর মামলা করছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম মুঠোফোন জানা বাবলু গরু বর্গা এনে বিভিন্ন জায়গায় রেখে শিক্ষক আপ্তাব আলী তিনির পরিবারের সদস্যদের উপর মামলা করেন। এলাকাবাসী গরু দুটি সন্ধান পেয়ে বড়লেখা থানায় নিয়ে আসেন থানা থেকে আমি গরু দুটি এনে রানু বেগমের নিকট দিয়েছি এবং যেকোন সময় থানা বা কোর্ট ডাকলো গরুগুলো নিয়ে যেতে বলেছি।
তিনি আরো বলেন আমি এলাকার গন্যমার্ন ব্যাক্তিদের নিয়ে বসে বিষয়টি চির স্হায়ী ভাবে শেষ করার চেষ্টা করবো।
এব্যাপারে বড়লেখা থানার এ এস আই আবু তালেব মুঠোফোন জানান আপ্তাব মাষ্টার এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে একটি লাল গাভী ও একটি বাছুর থানায় রাতে দিয়ে গেছেন আমরা মেম্বারের মাধ্যমে গরুর মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছি।