ঢাকা শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
১১ চৈত্র ১৪২৯ বাংলা
শিরোনাম:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর১০৩তম জন্মদিন পালন, পশ্চিম বড়ধামাই সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে মাহে রমজানের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত, ঝিনাইদহে ৪০০ পিচ ইয়াবা সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে আটক, প্রবাসী ঐক্য সোসাইটি এর পক্ষ থেকে রমজান উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ, জুড়ীতে ১১ পিচ ইয়াবাসহ হাসান আহমেদ গ্রেফতার , মোঃ জাকির হোসেন মৌলভীবাজার প্রতিনিধি , ঘাটাইলে কুলিয়া নাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন , কমলগঞ্জে মোস্তাক আহমেদ আমন্ত্রণমুলক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়, জুড়ীতে অপহরণ মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি পলাতক আসামী বিশ্বজিৎ দেবনাথ বিশু গ্রেফতার,

অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে ডঃসুফি সামস্ সাগর বি এইচ পি,

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল। প্রায় আড়াই লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর ৫৫ বছরের জীবনে ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেন এবং ১২ বছর ৩০২ দিন জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেন। পরিশেষে সপরিবারে দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে গেছেন। তিনি ত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সুতরাং যে মূলনীতি ঘোষণা করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র এবং রাজনীতির মূলনীতি, মূলভিত্তি ও মূলস্তম্ভ গড়ে তুলতে হবে।

১. জাতীয়তাবাদ, ২. গণতন্ত্র, ৩. শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র, ৪. ধর্মনিরপেক্ষতা, ৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৬. জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান এবং ৭. ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। এই ৭টি বিষয় ছিল মহান স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মচেতনার মূল উৎস। এই ৭টি বিষয় হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, এই ৪টি বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধে ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধাদের মূলনীতি ও মূলস্তম্ভ।

স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি ও শাসনতন্ত্র এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত ও প্রতিষ্ঠিত হবে মর্মে মুক্তিযোদ্ধারা ঘোষণা করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘোষিত এই চার মূলনীতি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মূলভিত্তি ও মূলস্তম্ভ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। যারা এই মূলনীতি বাইরে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন তারা স্বাধীনতাবিরোধী দেশ বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বলে বিবেচিত হবেন এবং ধর্মীয় পরিভাষায় নৈতিকতার দিক থেক অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিগনিত হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে ডঃসুফি সামস্ সাগর বি এইচ পি,

আপডেট সময় : ০৫:২১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি

১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল। প্রায় আড়াই লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁর ৫৫ বছরের জীবনে ২৩ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেন এবং ১২ বছর ৩০২ দিন জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেন। পরিশেষে সপরিবারে দেহের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে গেছেন। তিনি ত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সুতরাং যে মূলনীতি ঘোষণা করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়ে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই মূলনীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র এবং রাজনীতির মূলনীতি, মূলভিত্তি ও মূলস্তম্ভ গড়ে তুলতে হবে।

১. জাতীয়তাবাদ, ২. গণতন্ত্র, ৩. শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র, ৪. ধর্মনিরপেক্ষতা, ৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৬. জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান এবং ৭. ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। এই ৭টি বিষয় ছিল মহান স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মচেতনার মূল উৎস। এই ৭টি বিষয় হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, এই ৪টি বিষয় হলো মুক্তিযুদ্ধে ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধাদের মূলনীতি ও মূলস্তম্ভ।

স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতি ও শাসনতন্ত্র এই চার মূলনীতির ভিত্তিতে পরিচালিত ও প্রতিষ্ঠিত হবে মর্মে মুক্তিযোদ্ধারা ঘোষণা করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ঘোষিত এই চার মূলনীতি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মূলভিত্তি ও মূলস্তম্ভ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। যারা এই মূলনীতি বাইরে রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন তারা স্বাধীনতাবিরোধী দেশ বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠী বলে বিবেচিত হবেন এবং ধর্মীয় পরিভাষায় নৈতিকতার দিক থেক অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে পরিগনিত হবেন।