সোমবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

সিলেট সাবেক যুবলীগ সদস্যর বিরুদ্ধে ৫১মাস বাসা ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ,

আপডেট:

সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি

সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরে দলীয় প্রভাব কাটিয়ে ৫১ মাস দরে বাসা ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ শামীম ইকবাল নামের এক যুবলীগ সদস্যের বিরুদ্ধে। শামীম ইকবাল সিলেট জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য বর্তমানে যুবলীগে কোন পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। সোমবার দুপুরে সিলেট প্রেস ক্লাব ও জেলা প্রেস ক্লাব এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ওই ভাষার মালিক দাবি করা নেহারুন বিবি (৬০) নামের এক নারী। শাহজালাল উপশহর এর ডি ব্লকের ১৪ নম্বর সড়কের ২৬ নম্বর বাসার মালিক তিনি। নেহারুন বিবি অভিযোগ করেন বাসাভাড়া চাওয়ায় উনাকে চাওয়ায় বাসার ছাদ থেকে ফেলে হত্যার হুমকি তাকে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শামীম ইকবাল। ওই বাসা ভাড়া নিয়ে অগ্রিম দশ টাকা দিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন বাসাটি মেয়েরা মত বাবদ ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে বাসার মালিক দাবি করা ওই নারী এ ব্যাপারে কোন চুক্তি করেননি। চুক্তি করার জন্য বললে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করেন। পরে জানতে পারি ওই ভবনটি মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে ওই নারীর স্বামীর ভাই ও বোনদের মধ্যে ভাষাটিতে তাদের অংশ রয়েছে বলে দাবি করছেন। ভাষাটির মালিক দাবিদার অন্যরা ঐ নারীর কাছে বাড়া দিতে নিষেধ করেছেন বলে তিনি জানান। এজন্য আমি চলতি বছরের শুরুতে রেন্ট কনট্রোল একটি আদালতে মামলা করেছি। শামীম ইকবালের আইনজীবী সিরাজ আহমদ বলেন আদালতে শামীম ইকবাল মামলা করে বাসা ভাড়া জমা দিচ্ছেন। এখন আদালতই বলে দেবেন বাসা ভাড়া কার পাপ্য। শামীম ইকবাল আগে সিলেট জেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন এবং পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উল্লেখ করেছিলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, তিনি বলেন ইদানিং বিভিন্ন আয়োজনের শামিম ইকবালকে দেখা যায়। বাসাভাড়া না দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। সংবাদ লিখিত বক্তব্যে নেহারান বিবি বলেন যুবলীগের বড় নেতা পরিচয় দেওয়া শামীম ইকবালের কারণে আমার ও আমার সন্তানদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। থাকে বাসা ভাড়া দিয়ে এখন বিপদে পড়েছি আমার পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি উল্টো আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলন জানানো হয় শাশিম ইকবাল ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ অটিজম গবেষণা ও প্রতিবন্ধী স্কুলের জন্য মাসিক ২৫০০০ টাকা ভাড়া প্রদানের শর্তে পাঁচ তলা ওই ভবনের নিচতলা বাড়া নেন। ওই সময় নানা কারণে চুক্তি করা হয়নি। পরের চুক্তি সম্পাদনের কথা বললে শামিম ইকবাল সময় কেপন করতে থাকেন। পরে নানা চতুরতার কারণে চুক্তির বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি, এতে বিভিন্ন অজুহাতে ভাড়া বকেয়া করতে থাকেন। লিখিত বক্তব্য ২০২২ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি শামীম ইকবাল তার কাছে ৪০ হাজার টাকা তার চেয়ে তার বকেয়া বাড়ার সঙ্গে পরিশুধের আশ্বাস দেন। পরে তিনি দার দিলে ওই টাকা ফেরত দেননি শামীম, বারবার অনুরোধের পর ও বাসা ভাড়া বাবনা টাকা না দিলে ২০২২ সালে নভেম্বর মাসের শামীম ইকবালকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়, এতেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। বয়স্ক ওই নারী বলেন বকেয়া টাকা আদায়ের ব্যাপারে আমি স্থানীয় মুরব্বিদের সহযোগিতার চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। একাধিকবার সালিশ বসানোর চেষ্টা করলেও তিনি বিচার মানতে রাজি হননি, পরে শামিম ইকবাল মুরুব্বিদের কাছে দাবি করেন আমাদের অগ্রিম ১৫ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন এর প্রমাণ চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। টাকা না দিয়ে উল্টো শামীম ইকবাল ভয়-ভীতি দেখান ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। গত ২২ মার্চ শামীম ইকবাল আমার বাসার ছাদে এলে তার কাছে ধারের ৫১ মাসের বকেয়া বাসা ভাড়া ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা চাইলে এ সময় তুমি আমাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং মারতে উদ্বুদ্ধ হন আমার ছেলে ফয়েজ আহমদ ও গৃহকর্মী তামান্না সেখানেও উপস্থিত ছিলেন। আমার পাঠানো নোটিশ প্রত্যাহার না করলে ছাদের উপর থেকে মাটিতে ফেলে হত্যার হুমকি দেন শামীম। এসব বিষয় মামলা করলে আমার ছেলে মেয়েদের লাশ গুম করারও হুমকি দেন তিনি, এ ঘটনার শাহপরান থানা একটি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। পাওনা টাকা উদ্ধার শামীম ইকবালকে বাসা থেকে নামিয়ে দেওয়া এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন নেহারুণ বিবি। তার ছেলে আলী আকবর ফয়েজ বলেন,শামীম ইকবালকে উকিল নোটিশ দেওয়ার পর তিনি আদালতে মামলা করেছেন শামীম ইকবাল সহ পাঁচতলা ভবনের সবাই তার মায়ের মাধ্যমে বাসা ভাড়া নিয়েছেন, অন্য ভাড়াটিয়া ঠিকমতো বাসাভাড়া দিলেও তিনি দিচ্ছেন না। জায়গা নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে নেহারণ বিবির উচ্চ আদালতে মামলা চলছে স্বীকার করে আলী আকবর ফয়েজ বলেন, শামীম ইকবালের বাড়াও তার মায়ের প্রাপ্য। কিন্তু তিনি এতে বিভিন্ন বিষয় টেনে আনছেন ভাড়া নেওয়ার জন্য অগ্রিম ১০ লাখ টাকা দেওয়ার বিষয়টি বানোয়াট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত