ঢাকা রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বাংলা
শিরোনাম:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে অর্থপাচার কমবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজিবির অভিযানে ১১টি ভারতীয় অবৈধ গরু আটক, জুড়ীতে প্রবাসীর বাড়ী থেকে ৫’শ কেজি রড চুরি: গ্রেপ্তার ৩ , সিসিক মেয়র প্রার্থী,আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ক্যাম্পেইন কমিটি সারে এর উদ্যোগে নির্বাচনী মত বিনিময় সভা, মায়ের হাতে গাজীপুরের চাবি, আমেরিকা থেকে ১কোটি ১০ লক্ষ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার, শ্রীমঙ্গলে ১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২, কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় সিএনজি চালক আটক , জুড়ীতে বাবুল আহমেদ বাবুল দাখিল মাদরাসার রাস্তা দখলের অভিযোগ , কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা,

বিএনপির ভুল রাজনীতি ও জাতীয় বিভক্তি ড.সুফি সামস্ সাগর,বি এইচ পি,

সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি,
বিএনপির নেতাকর্মীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বীকার করেন না। তারা বঙ্গবন্ধুকে “বঙ্গবন্ধু” বলে সম্বোধন করেন না। তারা ‘শেখ মুজিব’ বলে সম্বোধন করেন। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এই শেখ মুজিব সম্বোধনের মধ্যেও প্রচ্ছন্নভাবে একটা অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা রয়েছে।
প্রশ্ন হলো, বিএনপি বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশ্রদ্ধা কিংবা অবজ্ঞা করে কেন? বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তো বিএনপির জন্মই হয়নি! আওয়ামী লীগ বিএনপির রাজনৈতক প্রতিপক্ষ, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি রাজনীতি করার মধ্য দিয়ে অশ্রদ্ধা কিংবা দুশমনি করতে পারে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশ্রদ্ধা, অবজ্ঞা কেন?
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু “বীর উত্তম” খেতাবে ভূষিত করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে দু’জনের মধ্যে পিতা-পুত্রের মতো সম্পর্ক ছিল। এই পিতা-পুত্রের সম্পর্কের মধ্যখানে কেন হিংসার অনল প্রজ্জ্বলিত করেছে বিএনপি? কোন মহৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য তারা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সৃষ্টি করে কেক কেটে আনন্দ-উল্লাশ করার প্রচলন করেছেন? এসব বিষয় জনগণ জানতে চায়। তারা প্রশ্ন করে। জনগণের এই প্রশ্নের জবাব কী? এই প্রশ্নের জবাব কী বিএনপির কাছে আছে? নেই। এটা তাদের ভুল রাজনীতি। তাদের এই ভুল রাজনীতির কারণে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। হিংসা-বিদ্বেষের অনলে ঘি ঢেলে দিয়েছে এই ভুল রাজনীতি। একারণে হিংসার অনলে জ্বলছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছেন, ‘শেখ মুজিব মহাত্মা গান্ধী, জর্জ ওয়াশিংটন, এমনকি আয়ারল্যান্ডের জনক ডি ভ্যালেরার চেয়েও অনেক বড় মহান নেতা’।
ভারতের বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রতিদিন তাঁর অফিস রুমে রক্ষিত মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে প্রথমে পুষ্পার্ঘ্য করেন। তারপর তাঁর দিনের কার্যক্রম শুরু করেন। অথচ মহাত্মা গান্ধী ছিলেন, বিজেপির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভারতীয় কংগ্রেস এর প্রধান নেতা। ভারতের বিজেপি আর কংগ্রেস হলো, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র মতো দুটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল।
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি নরেন্দ্র মোদির এই শ্রদ্ধা নিবেদন কী ভুল কার্যক্রম? নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপি কী ভুল রাজনীতি করছে? না, তারা ভুল করছেন না। তারা তাদের জাতির পিতা, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি দলমত নির্বিশেষ সকলেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাদের এই শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে তাদের জাতীয় ঐক্য ও দেশপ্রম অটুট রয়েছে।
বাংলাদেশেও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে, হিংসা-বিদ্বষের রাজনীতির অনল থেকে নিষ্কৃতি লাভের লক্ষ্যে, ভারতের মহাত্মা গান্ধীর মতো দলমত নির্বিশেষে বাঙালি জাতির পিতা, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে। এটা এজন্য করতে হবে যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকান্ডের পর হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কের ছড়িয়ে দেওয়া মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডায় প্রভাবিত হয়ে এক শ্রেণির মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভৃল ধারণা পোষণ করছেন। তাদের এই ভুল ধারণা ভেঙে দিতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সমগ্র জাতিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিএনপির ভুল রাজনীতি ও জাতীয় বিভক্তি ড.সুফি সামস্ সাগর,বি এইচ পি,

আপডেট সময় : ১০:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি,
বিএনপির নেতাকর্মীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বীকার করেন না। তারা বঙ্গবন্ধুকে “বঙ্গবন্ধু” বলে সম্বোধন করেন না। তারা ‘শেখ মুজিব’ বলে সম্বোধন করেন। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এই শেখ মুজিব সম্বোধনের মধ্যেও প্রচ্ছন্নভাবে একটা অশ্রদ্ধা ও অবজ্ঞা রয়েছে।
প্রশ্ন হলো, বিএনপি বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশ্রদ্ধা কিংবা অবজ্ঞা করে কেন? বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তো বিএনপির জন্মই হয়নি! আওয়ামী লীগ বিএনপির রাজনৈতক প্রতিপক্ষ, আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি রাজনীতি করার মধ্য দিয়ে অশ্রদ্ধা কিংবা দুশমনি করতে পারে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশ্রদ্ধা, অবজ্ঞা কেন?
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু “বীর উত্তম” খেতাবে ভূষিত করেছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে দু’জনের মধ্যে পিতা-পুত্রের মতো সম্পর্ক ছিল। এই পিতা-পুত্রের সম্পর্কের মধ্যখানে কেন হিংসার অনল প্রজ্জ্বলিত করেছে বিএনপি? কোন মহৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য তারা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সৃষ্টি করে কেক কেটে আনন্দ-উল্লাশ করার প্রচলন করেছেন? এসব বিষয় জনগণ জানতে চায়। তারা প্রশ্ন করে। জনগণের এই প্রশ্নের জবাব কী? এই প্রশ্নের জবাব কী বিএনপির কাছে আছে? নেই। এটা তাদের ভুল রাজনীতি। তাদের এই ভুল রাজনীতির কারণে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। হিংসা-বিদ্বেষের অনলে ঘি ঢেলে দিয়েছে এই ভুল রাজনীতি। একারণে হিংসার অনলে জ্বলছে বাংলাদেশ। ব্রিটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছেন, ‘শেখ মুজিব মহাত্মা গান্ধী, জর্জ ওয়াশিংটন, এমনকি আয়ারল্যান্ডের জনক ডি ভ্যালেরার চেয়েও অনেক বড় মহান নেতা’।
ভারতের বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি প্রতিদিন তাঁর অফিস রুমে রক্ষিত মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে প্রথমে পুষ্পার্ঘ্য করেন। তারপর তাঁর দিনের কার্যক্রম শুরু করেন। অথচ মহাত্মা গান্ধী ছিলেন, বিজেপির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভারতীয় কংগ্রেস এর প্রধান নেতা। ভারতের বিজেপি আর কংগ্রেস হলো, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র মতো দুটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল।
মহাত্মা গান্ধীর প্রতি নরেন্দ্র মোদির এই শ্রদ্ধা নিবেদন কী ভুল কার্যক্রম? নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপি কী ভুল রাজনীতি করছে? না, তারা ভুল করছেন না। তারা তাদের জাতির পিতা, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক মহাত্মা গান্ধীর প্রতি দলমত নির্বিশেষ সকলেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাদের এই শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে তাদের জাতীয় ঐক্য ও দেশপ্রম অটুট রয়েছে।
বাংলাদেশেও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে, হিংসা-বিদ্বষের রাজনীতির অনল থেকে নিষ্কৃতি লাভের লক্ষ্যে, ভারতের মহাত্মা গান্ধীর মতো দলমত নির্বিশেষে বাঙালি জাতির পিতা, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে। এটা এজন্য করতে হবে যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকান্ডের পর হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়কের ছড়িয়ে দেওয়া মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডায় প্রভাবিত হয়ে এক শ্রেণির মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভৃল ধারণা পোষণ করছেন। তাদের এই ভুল ধারণা ভেঙে দিতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সমগ্র জাতিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।