
মোঃ শাহাদাত হোসেন ,স্টাফ রিপোর্টার
মিরপুর ১০ বেনারসি পল্লী ১৫ নম্বর রোড পল্লবী মিরপুর ঢাকা এই এলাকার একদল কিশোর সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী এই কিশোর গেংয়ের মূল হোতা রোহিত ওরফে বাহুবলী, বাবলু, আশু, স্বমীর,ইমন,হাসান,বিকি সহ আরো আরো ৮-৯ জন এই সন্ত্রাসীরা ১৫ নম্বর রোডে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মাদক ব্যবসায়ী ইপটিজিং সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দিতে গিয়ে স্থানীয় বাড়িয়ালা মোহাম্মদ পানু মিয়া(৫৫) তাদের হাতে গুরুতর ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িওয়ালাদের অগোচরে গেলে তারা পুরো এলাকাবাসী একটা লিখিত অভিযোগ তৈরি করেন পুরো এলাকাবাসীর দোস্তোগত নিয়ে। সবাই একত্ব ঘোষণা করে প্রথমে ৩ নং ওয়ার্ড মিরপুর কমিশনার জনাব মানিক মিয়ার কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। সেখান থেকে কোন সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে মাননীয় সংসদ সদস্য ১৬ নং আসনের জনাব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা সাহেবের কাছে যাওয়া হলে তিনি ধৈর্য সহকারে তাদের কথা গুলো শোনেন।এবং পল্লবী থানা কে ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন, পরে পল্লবী থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ সাহেবের কাছে যাওয়া হলে। তিনি আমাদের বিষয়টি আমলে নেন। এবং বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব এসআই আব্দুল আজিজ ও এসআই সাইফুল ইসলামকে দেওয়া হয়। তারা বিষয়টি তদন্ত করতে গেলে কিশোর গেংঙ্গের সন্ত্রাসীরা বিষয়টি অবগত হওয়ার পরে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকে। কিছু দিন পর আবারও পুনরায় একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বাসার মালিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়েছে। যেকোনো সময় ওরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান। খবর নিয়ে জানা গেছে এরা যত দিন যাচ্ছে আরো উশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে এই সন্ত্রাসী চক্র শুধু মাদক নয়, যেকোন মেয়ে স্কুলে ভালো মতো যেতে পারেনা নানাভাবে তাদেরকে অসম্মান করে। এমনকি কোন ব্যবসায়ী সঠিক মত ব্যবসা করতে পারছে না। এদের ব্যাপারে তাদের পিতা-মাতাকে অবগত করার পরেও কোন সুফল বয়ে আনেনি। বরং এরা আরো উশৃংখল হয়ে উঠেছে এখন ১০ নং বেনারসি পল্লী মিরপুর ১৫ নং রোডের বাড়িয়ালারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন. তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস নেই কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপরে নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। তাই এই অসহায় এলাকাবাসী একটু শান্তিতে বসবাস করার জন্য পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্তকে বারবার অবগত করা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আমি কথা বলেছি, তিনি আমাকে জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত আছি। এবং প্রতিনিয়ত আমার টহল টিম সে যায়গায় টহল দিচ্ছে। কিন্তু অনতিবিলম্বে এরা ধরা পড়বে বলে তিনি আমাকে আশ্বাস দেন। জানতে পারি এরা সবাই বিহারী ক্যাম্প ও মুসলিম বিহারী ক্যাম্প এখানে এদের আনাগোনা বলে জানা যায়।