ঢাকা রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বাংলা
শিরোনাম:
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে অর্থপাচার কমবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজিবির অভিযানে ১১টি ভারতীয় অবৈধ গরু আটক, জুড়ীতে প্রবাসীর বাড়ী থেকে ৫’শ কেজি রড চুরি: গ্রেপ্তার ৩ , সিসিক মেয়র প্রার্থী,আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ক্যাম্পেইন কমিটি সারে এর উদ্যোগে নির্বাচনী মত বিনিময় সভা, মায়ের হাতে গাজীপুরের চাবি, আমেরিকা থেকে ১কোটি ১০ লক্ষ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার, শ্রীমঙ্গলে ১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২, কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্য নিহতের ঘটনায় সিএনজি চালক আটক , জুড়ীতে বাবুল আহমেদ বাবুল দাখিল মাদরাসার রাস্তা দখলের অভিযোগ , কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা,

ঢাল-সড়কি ও বল্লম নিয়ে মহড়া, মাইকে ঘোষণাকৃত সংঘর্ষ ঠেকালেন ওসি,

মোঃমিরাজুল শেখ,স্টাফ রিপোর্টার,
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃমিরাজুল শেখ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাইকে ঘোষণাকৃত বড়গুনি ও ঘোলা গ্রামের সংঘর্ষ ঠেকালেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান । সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় বড়গুনি গ্রামের শতাধিক মানুষের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়াকালে সংগীয় ফোর্স নিয়ে তিনি এ সংঘর্ষ ঠেকান। ওসির এ ভূমিকায় হতাহত ও আইন-শৃংখলা রক্ষা পাওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

পুলিশ ও গ্রামবাসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বড়গুনি গ্রামের শওকাত আলী মোল্লার ছেলে লাভলু মোল্লাকে ঘোলা গ্রামের শেখ কায়েম আলী শেখের ছেলে সাজিদ আহম্মেদ শাহিন মারধর করে। ওইদিন রাতে ঘোলা গ্রামের দুই বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সোহেল শেখ ও সৈয়দ জান্নাত আলী বড়গুনি গ্রামে গিয়ে শাহিনের পক্ষে মাফ চান। এটা বড়গুনি গ্রামবাসিদের মনপূত না হওয়ায় রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে বড়গুনির লোকজন বৈঠকে বসেন। এদিন রাত ৯ টার দিকে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ইন্ধনে বড়গুনি গ্রামের বিভিন্ন মসজিদ থেকে (বড়গুনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, এরশাদ মুন্সির মোড় জামে মসজিদ, বড়গুনি বাজার জামে মসজিদ, বড়গুনি উত্তরপাড়া জামে মসজিদ, বড়গুনি পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ এবং বড়গুনি মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং ভ্যানে মাইকে প্রচার) মাইকিং করা হয়। মাইকে বলা হয়, ‘বড়গুনি গ্রামের ছোট-বড় সবাই প্রস্তুত থাকবেন।

আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) সকালে ঘোলা গ্রামবাসিদের সাথে সংঘর্ষ হবে। লাঠিসোটা নিয়ে রেডি থাকবেন।’ এ প্রচারে দুই গ্রামের সাধারন মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা নির্ঘুম রাত কাটায়। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার লোক লাঠিসোটা, বল্লম, সড়কি, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বড়গুনি ব্রীজের উপর জড়ো হয়। অপরদিকে আত্মরক্ষার্থে ঘোলা গ্রামের লোকজন জড়ো হতে থাকে। এ খবর পেয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান সংগীয় ফোর্স নিয়ে বড়গুনি গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষ ঠেকান। ওসির এ ভূমিকায় হতাহত ও আইন-শৃংখলা রক্ষা পাওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মোঃ আল-আমিন শেখ জানান, তিনি কোন মাইকে প্রচার করেননি। তবে তিনি বিভন্ন মসজিদের মাইকে প্রচার শুনেছেন।

বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমারে কি পাগলে কামড়াইছে, যে মাইকে প্রচার করাবো? কোন মাইকিং হয়নি। যারা শুনেছে ভুল শুনেছেন।’

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘খবর শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। কোন সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনা আগামী শুক্রবার বিকালে স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাল-সড়কি ও বল্লম নিয়ে মহড়া, মাইকে ঘোষণাকৃত সংঘর্ষ ঠেকালেন ওসি,

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

মোঃমিরাজুল শেখ,স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাইকে ঘোষণাকৃত বড়গুনি ও ঘোলা গ্রামের সংঘর্ষ ঠেকালেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান । সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় বড়গুনি গ্রামের শতাধিক মানুষের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়াকালে সংগীয় ফোর্স নিয়ে তিনি এ সংঘর্ষ ঠেকান। ওসির এ ভূমিকায় হতাহত ও আইন-শৃংখলা রক্ষা পাওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

পুলিশ ও গ্রামবাসি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বড়গুনি গ্রামের শওকাত আলী মোল্লার ছেলে লাভলু মোল্লাকে ঘোলা গ্রামের শেখ কায়েম আলী শেখের ছেলে সাজিদ আহম্মেদ শাহিন মারধর করে। ওইদিন রাতে ঘোলা গ্রামের দুই বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সোহেল শেখ ও সৈয়দ জান্নাত আলী বড়গুনি গ্রামে গিয়ে শাহিনের পক্ষে মাফ চান। এটা বড়গুনি গ্রামবাসিদের মনপূত না হওয়ায় রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে বড়গুনির লোকজন বৈঠকে বসেন। এদিন রাত ৯ টার দিকে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ইন্ধনে বড়গুনি গ্রামের বিভিন্ন মসজিদ থেকে (বড়গুনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, এরশাদ মুন্সির মোড় জামে মসজিদ, বড়গুনি বাজার জামে মসজিদ, বড়গুনি উত্তরপাড়া জামে মসজিদ, বড়গুনি পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ এবং বড়গুনি মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং ভ্যানে মাইকে প্রচার) মাইকিং করা হয়। মাইকে বলা হয়, ‘বড়গুনি গ্রামের ছোট-বড় সবাই প্রস্তুত থাকবেন।

আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) সকালে ঘোলা গ্রামবাসিদের সাথে সংঘর্ষ হবে। লাঠিসোটা নিয়ে রেডি থাকবেন।’ এ প্রচারে দুই গ্রামের সাধারন মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা নির্ঘুম রাত কাটায়। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার লোক লাঠিসোটা, বল্লম, সড়কি, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বড়গুনি ব্রীজের উপর জড়ো হয়। অপরদিকে আত্মরক্ষার্থে ঘোলা গ্রামের লোকজন জড়ো হতে থাকে। এ খবর পেয়ে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান সংগীয় ফোর্স নিয়ে বড়গুনি গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষ ঠেকান। ওসির এ ভূমিকায় হতাহত ও আইন-শৃংখলা রক্ষা পাওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মোঃ আল-আমিন শেখ জানান, তিনি কোন মাইকে প্রচার করেননি। তবে তিনি বিভন্ন মসজিদের মাইকে প্রচার শুনেছেন।

বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমারে কি পাগলে কামড়াইছে, যে মাইকে প্রচার করাবো? কোন মাইকিং হয়নি। যারা শুনেছে ভুল শুনেছেন।’

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘খবর শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। কোন সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনা আগামী শুক্রবার বিকালে স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করা হবে।’