
মোঃ জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই নির্মান শ্রমিকের মৃত্যুর ১৪ দিন পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সোমবার (১ মে) দুপুরে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বাক্ষীদের বক্তব্য নেন।
জানা গেছে, ১৭ এপ্রিল উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের স্টেশন রোডে ফয়জুর রহমানের নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের বড়ধামাই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে মোঃ শাহীন আহমেদ (২২) ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫) মৃত্যুবরণ করেন।
খবর পেয়ে জুড়ী থানার এসআই বাদল ও কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার শংকর রায়ের নেতৃত্বে টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা: নিশাত জাহান সেপটিক টাংকে পড়া দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত শাহীনের পিতা আব্দুল খালিক বলেন, আমার ছেলেকে নির্মানাধীন ভবনের ঠিকাদার লিয়াকত মিয়া ও তার ভাই আসুক মিয়া মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
ঠিকাদার লিয়াকত মিয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি ফয়জুর রহমানের নির্মানাধীন ভবনের এক পাশে কাজ করছিলেন। তার অজান্তেই দুই শ্রমিক শাহিন ও কামরুল সেপটিক ট্যাংকে নেমে পড়েন, তাদেও চিৎকার শুনে তিনি এগিয়ে যান।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুজনের মৃত্যুর বিষয়ে জুড়ী থানায় একটি ইউডি মামলা (নং-৩, তাং- ১৭/০৪/২০২৩ ইং) রুজু করা হয়। সোমবার (১ মে) ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। এটি হত্যা কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।