
কবি মুকলেছ উদ্দিন
আমও গেল ছালাও গেল।
এক হিন্দু ভদ্রলোক তার এক দেবতাকে খুশি করতে গিয়ে দেবতার জন্য হাজারো জাতের হাজারো ফুলের একটা মালা তৈরি করে। সেই ফুলগুলি সংগ্রহ করতে গিয়ে তার ত বছর চার মাস সময় লাগে। ভদ্রলোকের উদ্দেশ্য সেই দেবতার কাছ থাকে একটা আশীর্বাদ মূল্যবান বর পাবেন। ভদ্রলোক কঠুর পরিশ্রম করে মালাটি সম্পন্ন করে দেবতার গলে পরিয়ে দেন ও সঙ্গে একটি মুক্তার মালাও দেন। লোকটিকে সনাতন ধর্মের সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণ এই কুটুর পরিশ্রম করে কাজটি করায় হিন্দু জাতির গর্ব ও কৃতি সন্তান বলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কিন্তু দেখা গেল মাটির মূর্তি যে বোবা কথা বলতে পারে না সেটা তার ধারণা ছিল না। সে মনে করেছিল অবশ্যই তার পারিশ্রমিক একটা মূল্যবান বর পাবে।যা আশাতীত একটা আশীর্বাদ।
কিন্তু তা আর হলো না।
সাথে মুক্তার মালাটাও গেল পরিশ্রমের দিনগুলি কেটে গেল বিফল।
তাই তিনি বললেন
আমও গেল ছালা ও গেল
শেষে এই বলেই ঘরে ফিরল
যেমন অপাত্রে কন্যা দান
আর বাদ্য ছাড়া গায় গান।
তাই নিতে হয় আদি পরিচয়
পিছনে যেন পস্তাতে না হয়।
সেদিন সাত পাঁচ জাইন্যা
হাল জুরলো না সেই বাণ্যা।
কবি ফেরদৌসী লিখে সুলতানের জীবনী
সেদিন খালি হাতে বাড়ি ফিরলেন তিনি।
দেখেন এখানেও খুঁজে পাইবেন তাই
আমিও কবি ফেরদৌসির এক ভাই।