
সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি
যৌতুক লোভী স্বামীর পরিবারের নির্যাতনের শিকার এক গৃহিণী, পাঁচ মাসের শিশু সন্তান নিয়ে সবার ধারে ধারে ঘুরে ঘুরে কুনো বিচার পাচ্ছেন না। প্রভাবশালী পরিবারের জন্য এই গৃহিণী নিরাপত্তা হীনতায় দিনযাপন করছেন বলে জানান।
জানা যায় সিলেট এয়ারপোর্ট থানার জালালাবাদ আ/এ ৪৭/১০নং বাসার বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী সানি রাজা চৌধুরী, পিতা ফরহাদ রাজা চৌধুরী, প্রথমে সানি রাজা চৌধুরীর সাথে ফাতেমা আক্তারের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল, বিগত ০২/০২/২০২২ইং ফাতেমা আক্তার (শিপাকে) ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে উপশহরে একটি বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন, তাহাদের পাঁচ মাসের একটি শিশু (ফারদিন রাজা চৌধুরী) আছে। তিনি জানান বিয়ের পর থাকে সব সময় যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন। এর পর তিনি জানান পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে তিনি আমেরিকায় চলে যান, আমেরিকা যাওয়ার সময় আমাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তখন আমার বাবার দেওয়া ১ভরী স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তাহাকে ৮০হাজার টাকা দেই। এরপর তিনি আমেরিকায় চলে যান, পরে তার মা-বাবার পরচনায় আমাকে ১০লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। তিনি আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ হলে বলেন, আমাকে আমেরিকা নিতে হলে ১০লক্ষ টাকা লাগবে। তখন আমার পিত্রালয় থেকে আমি ১০লক্ষ টাকা এনে দেই। দেওয়ার পরে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পর আমি ফোন করলে তিনি জানান আমাকে আমেরিকা নিতে আরো ১০লক্ষ টাকা লাগবে, তখন তাহার মা বাবার পরোচনায় বলেন ১০লক্ষ টাকা দিলে আমার মা বাবা তুমাকে ঘরে তুলে নিবে। আমার উপর যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তখন আমি অপারগতা প্রকাশ করলে, বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে তাঁহার পরিবারের লোকজন, এবং নির্যাতনে মাত্রা বেড়ে যায় তখন আমি নিরুপায় হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় ০৩/০৫/২০২৩ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমার এবং বাচ্চার ভরণ পোষণ আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। পাঁচ মাসের বাচ্চা শিশু (ফারদিন রাজা চৌধুরীক) নিয়ে আমি অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করতেছি। ফোন করেও আর যোগাযোগ করা যায়নি। এর পর আমি জানতে পারি গত ২৮/০৪/২০২৩ইং আমার স্বামী সানি রাজা চৌধুরী বাংলাদেশে এসেছেন, এবং তাহার মা বাবার প্ররোচনায় সিলেটের ফেন্সিগঞ্জে তিনি আরেকটি বিবাহ করেন বলে জানতে পারি। পরে ০৯/০৫/২০২৩ইং সংবাদ পেয়ে বর্ণিত ঠিকানায় আমি যাই। স্ত্রী শিপা তাহার স্বামীর বাসায় গেলে বাসায় তালাবদ্ধ পান, এবং তিনি অনশন করতে থাকেন, পরে তালা খুলে তিনি ভিতরে প্রবেশ করলে তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়। পরে এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে গেলে। পরে এয়ারপোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন নির্দেশে থাকে উপশহরের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এবং তিনি বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানান।