
মোঃ জাকির হোসেন স্টাফ রিপোর্টের
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আলাদাদ চা বাগানের জায়গা থেকে ২৫ টি গাছ কাটার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তবে বিবাদী পক্ষের লোকজন বলেছে তারা দীর্ঘ দিন থেকে সরকারি জায়গায় বাড়ি ঘর করে বসবাস করছে, তাদের জায়গায় লাগানো গাছ বাগান কেটে নিয়ে তাদের লোকজনের উপর উল্টো মামলা দিচ্ছে।
এ নিয়েে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উওেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুঘর্টনার আশংকা করছেন তারা।
গত ৭ মে বরিবার আল্লাদাদ চা বাগান একটি মামলা করে । ১৩ মে সরেজমিন এলাকায় গিয়ে জানা যায় বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের জহুদ নগর বিরাশি এলাকায় ১ শতের অধিক পরিবারের লোকজন বসবাস করছে। সরকারি টিলা ভুমির জঙ্গল পরিস্কার করে পান, সুপারী সহ বিভিন্ন প্রজাতির
গাছপালা রোপন করে তাদের জিবীকা অর্জন করে আসছে।এ পরিবার গুলো প্রধান মন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গত ২০১৮ সালে প্রায় ১ শতটি পরিবার বিদ্যুতের আওতায় আসে। অনেকে জানান জহুদ নগর বিরাশি অনেকে বস্তির আশে পাশের অনেক কৃষি জমি চেয়েছে এই কৃষি জমিতে অনেক কৃষক কৃষি খেত করে জীবন জিবীকা করে চলে। বাগান পক্ষ কোন প্রয়োজন ছাড়া বাগানের আশেপাশে নয় বেশ কিছু জায়গা জুড়ে মাটি কাটার মিশিন লাগিয়ে শ্রেনী পরিবর্ত করে ফিসারি করছে ,এ ফিসারির বাদ দেওয়ায় পাহাড়ি ঢলে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। আমরা
এটাতে আপত্তি করায় আমাদের লাগানো গাছ কেটে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যে গাছ গুলো কাটার অভিযোগ দিয়ে মামলা করা হয়েছে,এই গাছ গুলো কাটার অভিযোগে প্রায় ১ বছর আগে বাগান পক্ষের শাহজাহান গংদের বিরুদ্ধে জহুদ নগর বিরাশি গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে আব্দুর রহমান কোর্টে মামলা করেন যার নাম্বার সি আর ১৪৩/২২ যাহা চলমান।
তারা আরও জানান আগের দিন আমাদের লাগানো গাছ কাটা নিয়ে বাগান পক্ষ আমাদের ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পরের দিন ভোরে বেরেঙ্গা পান পুন্জির
আদিবাসীদের পান ও সুপারী গাছ কেটে ফেলে আল্লাদাদ চা বাগান এমন অভিযোগ এনে আদিবাসী লোকজন বাগানের ম্যানেজার সিরাজ উদ্দিন সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। আদিবাসীদের পান ও সুপারী গাছ কাটা ও আমাদের লাগানো গাছ কেটে আমাদের লোকদের উপর মামলা একি সুতায় বাধা। বাগান পক্ষ এমন কর্মকান্ডে আশপাশের লোকজনের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বাগান পক্ষ
গাছ কাটার অভিযোগে রুবেল আহমদ( ২৯) আবদুর রহমান মন্টি( ৩৮) সুনাম উদ্দিন (৫০) হোসাইন (৩০) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে গাছ কাটার বাগান পক্ষের প্রধান ১ নং সাক্ষি জোনাব আলী( ৬৫) জানান বাগান যে গাছ কাটার মামলা করলো আমি তার কিছু জানি না আমাকে কেমনে সাক্ষি দিলো।
এ ব্যাপারে আল্লাদাদ চা বাগানের ম্যানেজার সিরাজ উদ্দিন জানান বাগানের মালিক পক্ষ বাগানটি ডেভোলাপমেন্টের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাই আমাদের জায়গা গুলো বের করতে হবে । কৃষকের কৃষি জমিতে ফিসারি করা হলো কেন এমন প্রশ্ন করা হলে বলেন বাগানে পানি দেওয়ার জন্য।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্চার্জ মোঃ রবিউল
হক মুঠোফোন জানান বিবাদীরা বিভিন্ন সময় গাছ কেটে নিয়েছে তাই তদন্ত করে কোর্টে পাটিয়েছি।