চাঁপাইনবাবগঞ্জে একই নামে দুটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, নির্বাহী সচিব কারাগারে,

- আপডেট সময় : ০৬:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃসামিরুল ইসলামঃচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নামে দুইটি প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। একই নাম দিয়ে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ফুড অফিস মোড়স্থ শাখার নির্বাহী সচিব মো.হান্নান হোসাইনকে। রবিবার (১১ জুন) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। নির্বাহী সচিব পদে দায়িত্ব পান। নিয়ম অনুযায়ী,২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী সচিব নির্বাচিত হন হান্নান হোসাইন। এরপর ২০২০ সালে নির্বাহী কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও জোরপূর্বক একই পদ দখলে রাখেন এবং একটি ভুয়া কমিটি গঠন করেন। এর ধারাবাহিকতায় বিদ্যালয়ের যাবতীয় চেয়ার-টেবিল, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন নথিপত্র দখলে নিয়ে ২০২০ সালের ২০ আগষ্ট সকল নথিপত্র ও আসবাবপত্র নিয়ে ফুড অফিস মোড়ে একই নাম ব্যবহার করে আরেকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন মিলিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেন৷
অভিযোগ রয়েছে, একই নামে নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা করে নিজেকে নির্বাহী সচিব ও স্ত্রীকে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিতেন হান্নান-আম্বিয়া দম্পতি। এমনকি এই পরিচয়ে সীলমোহর ব্যবহার করতো তারা। এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলা শহরের নিউ ইসলামপুর ও ফুড অফিস মোড়ে একই নামে দুইটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় চলছিল। এমনকি তাদের মধ্যে
এনিয়ে ২০২২ সালের ১৬ মার্চ জেলা শহরের নিউ ইসলামপুরস্থ সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজেরা খাতুন আদালতে মামলা দায়ের করেন। রবিবার (১১ জুন) আদালত মামলার প্রধান আসামী হান্নান হোসাইনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও মামলার দ্বিতীয় আসামী আম্বিয়া খাতুন মিলিকে জামিন দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, মামলার তৃতীয় আসামী মামহবুবুল আলমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী ড. মো. তসিকুল ইসলাম জানান, আজ মামলার চার্জ গঠনের দিন ছিল। একই নামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী সচিব হান্নান হোসাইনের নামে। আজকে আদালত মামলার প্রধান আসামী হান্নান হোসাইনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এছাড়াও তার স্ত্রী ও মামলার দ্বিতীয় আসামী আম্বিয়া খাতুন মিলিকে জামিন দেয়া হয়েছে।