গোপালগঞ্জের বোড়াশী শেখ মুজিব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ সহ নানাবিধি দূর্নিতীর অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৫:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩ ৫১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তপু শেখ গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের শেখ মুজিহব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দূর্নিতী ও বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাতের লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের কমিটির ১ নং অভিভাবক সদস্য একই এলাকার আক্তার হোসেন মোল্লার ছেলে মোঃ জাহিদ হোসেন মোল্লা।
আভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতি বোড়াশী ইউনিয়নের শেখ মুজিব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪টি পদের জন্য জরুরী নিয়োগ দেওয়া হয়, পদগুলো মধ্যে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, নৈশ প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী। এই নিয়েগের ব্যপারে গোপালগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা বর্তমান গোপালগঞ্জ নামক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। অভিযোগ পত্রে পাওয়া যায়, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য, বোড়াশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম,এম, মনির আহম্মেদ ননী ক্ষমতার প্রভাবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে, নিয়োগ কমিটি ও বাছাই কমিটির কোন মিটিং না করে নিজেদের ইচ্ছামত নিজেদের নাম দিয়া সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজুলেশন ও নোটিশ খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে আনেন।
এ ব্যপারে বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সদস্য মোঃ জাহিদুর রহমান মোল্লা জানান, ব্যাক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে সকলের স্বাক্ষর নিয়ে আমার কাছে আসলে দেখি সব পাশ হয়ে গেছে, আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে কোন সদউত্তর দিতে পারি নাই। তিনি আরো বলেন, বিগত ২০২২ সালে এডহক কমিটি সভাপতি সদর উপজেলা ইউএনও আহবায়ক হয়ে বিদ্যালয়ের একটি কমিটি গঠন হয়। ঐ কমিটিকত আমি অভিভাবক সদস্য ছিলাম। বিদ্যালয়ে এই সকল দূর্নিতীর হিসাব নেবার জন্য সদর উপজেলা ইউ,এন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন কমিটিতে ছিলেন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহ-শিক্ষা অফিসার ও সমাজ সেবা অফিসার এই তিন সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিদ্যালয়ের তহবীলের টাকা পয়সার হিসাব এর গড়মিলের কারনে। তদন্তে বিদ্যালয় তহবিলের আনুমানিক ২লক্ষ পঞ্চাশ থেকে তিন লক্ষ টাকার গড়মিল পায়। দূর্ভাগ্য ক্রমে ততকালীন সময়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পদন্নতি সহ বদলি হওয়ায় বিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্ট ফাইলবদ্ধ হয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ইউএনও অফিসে পড়ে আছে। তিনি আরো জানান বিদ্যালয়ের বর্তমান এই বেহালদশা, অনিয়ম ও দূর্নিতী সবই করছে সাবেক চেয়ারম্যানের অনুগত লোক কমিটির সভাপতি এলাহী মোল্লা, ও এলাহীর ভাই সাবেক সভাপতি সহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ।এলাহী মোল্লার পিতাও এই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এদের ভয়ে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় কমিটির কেউ কথা বলতে পারে না। এই সকল দূর্নিতীবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুপ ব্যবস্থা গ্রহন করার ব্যপারে সংস্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষন করছি। বর্তমানে আমাদের এই বিদ্যালয় তহবিলে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ৫লক্ষ টাকার অনুদান এসেছে, এই অনুদানের টাকা যেন আইনানুপ ভাবে বন্টন করা হয় সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য সংস্লিষ্ঠ কতৃপক্ষকে নজর দান করার অনুরোধ জানানো হল।