পঞ্চগড় প্রতিনিধি-

পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় উপজেলায় এবার চলতি মৌসুমে
সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।অতীতের চেয়ে সকল লক্ষ মাত্রার চেয়েও বেশি রেকর্ড মাত্রা আবাদ হয়েছে। শালবাহান, ভজনপুর, তিরনই
হাট বাজারে পাটের ন্যায্য মূল্যো পেয়ে পাট চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বিষয়ে
উপজেলায় ২ নং তিরনই হাট ডেমগছ গ্রামের পাট চাষি খোরসেত আলম জানান ১ মন পাটের দাম ২ হাজার
থেকে ২১ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।এ ছাড়াও এ কাজে নিয়োজিত
নীলফামারী জেলা থেকে কাজ করতে আসা প্রায় ২শত ৫০ জন নারী ও পুরুষ দিনমুজুর শ্রমিক
রয়েছে।এদের মধ্যে খকেন চন্দ্র রায়
নারী শ্রমিক অলোকি দেবী প্রতিবন্ধি
বিষনু রায় জানান,প্রতিদিন পাট কেটে হাজিরা পান ৫শত টাকা এতে তাদের সংসার চলে। তারা পৃথক ভাবে দিনমুজুরের কাজ করে । এ এলাকায় রাতে ক্যাম্প করে সবাই এক সাথে থাকেন বলে জানান,তবে নারী শ্রমিকের সংখ্যা চোখে পড়ার মত।তেতুলিয়ায় ,পঞ্চগড়, দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারীসহ সব
উপজেলায় প্রান্তিক সোনালী আশ পাটের বাম্পার ফলন ও
আবাদ বেশি হয়েছে। পুকুরে
জলের অভাবে পাট জাগ দিতে প্রথমে সমস্যায় কষ্টে পড়েন পাট চাষিরা।পাট জাগ আঁশ ছড়ানোর ব্যস্ত অনেক বেশি এখন শেষ পয্যায়ে।বাজার ধর বেশি উৎপাদন ভালো হওয়ায় আগামীতে এ অঞ্চলে পাট চাষ আরো অনেক বাড়বে বলে তেতুলিয়ার উপজেলার

কৃষি অফিসার মো; জাহাঙ্গির
আলম এ প্রতিবেদকে জানান।কৃষি সমপ্রসারণ অফিস সুত্র জানায়, ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
অর্জন হয়েছে ৯শত হেক্টর।এছাড়াও চলতি মৌসুমে চাষিকে বীজ ও সার প্রনোদনা দেওয়া হয়।জমিতে হাল চাষ বীজ নিরানি সার বিষ কিটনাশক সংকট না থাকায় প্রয়োগে চাষ পাট কাটা ও ধোয়া শুকানোসহ তেমন অর্থ ব্যয় হয়নি।
প্রতি বিঘাতে পাট আবাদ ১৬ থেকে১৮ মন।প্রতি মন ভালো পাটের বাজার মূল্য

বেদে ২ হজার টাকা থেকে ২৫ শত টাকা ধরে পর্যন্ত বিভিন্ন হাট বাজারে কেনা বেচা হচ্ছে