কর্মচাঞ্চল্যতায় ফিরছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটি বাংলাবান্ধা ,

- আপডেট সময় : ০৩:১৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩ ২৪ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি-
চতুর্দেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
টানা তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র
ভারত থেকে বড় বোল্ডার পাথর আসতে শুরু করেছে। তবে ভূটান থেকে এখনও পাথর আমদানী শুরু হয়নি৷
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল থেকে পাথর আমদানী হওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ৷
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বন্দরে ভারত থেকে পাথরবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পাথর আসায় কর্মচাঞ্চল্যতায় ফিরছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটি। আজ ৯ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করবে। আগামী শনিবার থেকে পুরোদমে ভারত থেকে পাথর আসবে আমাদের বন্দরে। তবে ভুটানের পাথর আসা বন্ধ রয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রফতানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। চলতি আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকে শুল্ক কর বৃদ্ধি করার কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসান হওয়ার ভয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি করা বন্ধ রেখেছিলেন। শুল্ক বিভাগের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। সে ভিত্তিতেই আমদানিককারকরা পাথর আমদানি করতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার কিছু পণ্যবাহী (পাথর) ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। পাথর আসার মধ্য দিয়ে আবার সেই প্রাণ চঞ্চলতা ফিরে পাবে।
এর আগে পাথর ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, ৩১ জুলাই শুল্ক বিভাগ ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়ে প্রতি মেট্রিক টন ভারতীয় পাথরে (বোল্ডার) অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু (শুল্ক) ১২ ডলার থেকে ১৩ ডলার করার কথা জানায়। আর ভুটানের পাথরে (ভাঙা পাথর) প্রতি মেট্রিক টনে অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু (শুল্ক) ২১ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ ডলার করা হয়েছে। এ রেটে পাথর আমদানি করলে লোকসানে পড়তে হবে ভেবে তারা ১ আগস্ট থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন।
এতে করে ভারত থেকে টানা ২৩ দিন ও ভুটান থেকে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দরটিতে পাথর আসা বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়ে চারদেশীয় স্থলবন্দরটি। বন্দরটিতে ৯৫% পাথর নির্ভর হওয়ায় ভারত ও ভুটান থেকে প্রতিদিন ৩৫০-৪৫০ ট্রাকে পাথর আমদানি হতো। সেখানে পাথর না আসায় তা কর্মচাঞ্চল্য হারিয়ে ফেলে বন্দরটি। কর্মহীনতায় পড়ে হাজার হাজার শ্রমিক। পাথরের ট্রাক বিহীন শুন্য হয়ে পড়ে স্থলবন্দরের ইয়ার্ড। ইমিগ্রেশনে যাত্রীপারাপারও চলছে ধীরগতিতেই। বিপাকে পড়েছে বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অর্থ বছরে ৫৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে দেন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আদায় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। অর্থ বছরের জুন মাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। আদায় হয়েছে ১৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় জুনে আদায় বেশি হয়েছে ১২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা।