ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ও ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল আসামী গ্রেফতার,

- আপডেট সময় : ১২:০৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি বিশ্বনাথ সাহা বিশু,
গত ২৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় লাল মিয়া (৫০) নামক এক ব্যক্তি নিখোঁজ হলে পরদিন ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় জিডি নং-১৪৩৬, তারিখ—৩০/০৮/২০২৩ লিপিবদ্ধ করা হয়। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এস আই রায়হান বিভিন্ন তথ্যাদি সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে জনৈক সোহেল মিয়া (৩৫)-কে লাল মিয়ার অপহরণকারী হিসেবে সনাক্ত করেন। অতঃপর তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মো: আবুল খায়ের-এর নেতৃত্বে উক্ত আসামীকে ওই রাত ০৩:০০ ঘটিকায় তারাকান্দা থানাধীন নলদিঘী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানায় যে, সঙ্গীয় শাহীন মিয়া (৪৫), পিতা-আঃ জব্বার খান ও আব্দুল বারেক (৪০), পিতা- আলী আকবর-দ্বয়ের সাথে আসামী সোহেল ভিকটিম লাল মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর ২৯ আগস্ট রাত অনুমান ২২.০০ ঘটিকায় আসামী সোহেল মিয়া ও আব্দুল বারেক ভিকটিম কে অনুসরণ করে এবং এক পর্যায়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে আসামী শাহীনসহ তিনজন একত্রে ধারালো ছুরি দ্বারা ভিকটিমের গলায় ও পেটে প্রাণঘাতী একাধিক গুরুতর জখম দ্বারা মৃত্যু নিশ্চিৎ করে। এরপর আসামী সোহেল একটি বস্তায় ভিকটিমের লাশ এবং অন্য একটি বস্তায় বালি-মাটি ভরে উভয় বস্তা একসাথে পার্শ্ববর্তী জনৈক মজিবর রহমানের পুকুরে ফেলে দিয়ে লাশটি গুম করে। হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীর সোহেল মিয়া ও তার সহযোগীরা গ্রেফতার হওয়ায় থানা এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসে।
ভিকটিম লাল মিয়া আসামী সোহেলের কাছে সুদের ব্যবসার ৪,০০,০০০/—(চার লক্ষ) টাকা এবং আসামী আব্দুল বারেক এর কাছে ২,১৫,০০০/— সুদের টাকা পাওনা ছিল এবং এই টাকার দায়মুক্তির উদ্যেশ্যেই তারা এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে মর্মে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। ধৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।