রাজধানীতে মাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ,

- আপডেট সময় : ০৯:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ শাহাদাত হোসেন ,ষ্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর মুগদার দক্ষিণ মাণ্ডা এলাকার একটি বাসা থেকে মমতাজ বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ঘটনার পরই নিহত নারীর ছেলে সোহান হাওলাদারকে আটক করেছেন তারা। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ মাণ্ডা মহিলা মেম্বার গলির ১৩১০ নম্বর বাড়ির নিচ তলা থেকে উদ্ধার করা হয় মমতাজের মৃতদেহ। মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে সোহান (১৫) তার মা মমতাজের মাথায় আঘাত করে। এরপর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। তিনি আরও জানান, সোহান তার এক বন্ধুর মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে সেটি নষ্ট করে ফেলেছে। সেটি মেরামত করতে দিয়েছে সোহান। সেখানে বিল হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। মায়ের কাছে এই টাকা দাবি করেছিল সে। তবে তার মা টাকা দিতে রাজি হননি। এজন্য কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মায়ের মাথায় আঘাত করে। এরপর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। ঘটনার পরপরই তাকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে নিহত মমতাজের বড় ছেলের স্ত্রী ডলি আক্তার জানান, তিনি স্বামীকে নিয়ে থাকেন মধ্য বাড্ডায়। সকালে তার মেঝো দেবর তাদেরকে ফোন দিয়ে জানান, তার শাশুড়িকে কারা যেন মেরে ফেলেছে। পরে ওই বাসায় গিয়ে মমতাজের লাশ দেখতে পান তিনি। তিনি জানান, পুলিশের কাছ থেকেই তারা শুনেছেন, নিহতের ছোট ছেলে সোহানই তাকে খুন করেছে। সাড়ে ৩ হাজার টাকার জন্য তার মাথায় আঘাত করেছিল প্রথমে। এরপর তার ওড়না দিয়েই গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে।
নিহত মমতাজের বাড়ি বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সলদী গ্রামে। তার স্বামী আব্দুল জলিল হাওলাদার নিরাপত্তা কর্মীর চাকরি করেন। মঙ্গলবার রাত্রীকালীন ডিউটিতে ছিলেন তিনি। ছোট ছেলেকে নিয়ে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। বড় দুই ছেলে আলাদা বাসায় থাকেন সোহান বেকার।
দক্ষিণ মাণ্ডার ওই বাড়ির মালিকের ছেলে সাব্বির আহমেদ জানান, সকাল পৌনে ৭টার দিকে সোহান তাদেরকে খবর দেয় যে, ভোরে সে বাইরে খেলতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বাসায় ফিরে রুমে ঢুকে তার মাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সে। তার মাকে কেউ খুন করে চলে গেছে বলে সে তখন সবার কাছে দাবি করতে থাকে। তখন সাব্বির ৯৯৯ মাধ্যমে মুগদা থানায় খবর দেন। পরবর্তী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। তাদের সন্দেহ হলে ছেলে সোহানকে তারা আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মাকে হত্যার কথা সে স্বীকার করেছে বলে জানা যায়।