ঢাকা বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
১৯ আশ্বিন ১৪৩০ বাংলা
শিরোনাম:
সিলেটে ৫ জনের কারাদন্ড মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত , কালীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখো-মুখি সংঘর্ষ নিহত ১, পঞ্চগড়ে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ- এর শুভ উদ্বোধন, কাশিমাড়ী ইউনিয়নের শিশু কার্ড এর চাউল আত্মসাতের অভিযোগ গাইবান্ধার মাসুদ মেম্বারের প্রতারনার শিকার স্ত্রী গোপালঞ্জের তাহমিনা আক্তার, জুড়ী ফুটবল ট্রেনিং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া খুদে খেলোয়াড়েরাই একদিন দেশ-বিদেশে নাম ছড়িয়ে দেবে, গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের প্রচেষ্টা, উৎসবমুখর ও সুন্দর একটি দূর্গা পূজা নিশ্চিত করা, মধুপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায়, অবরুদ্ধ ৬০টি পরিবার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাব,

নোয়াখালী সেনবাগে সংবাদ সংগ্রহ কালে গণমাধ্যমকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা!,

মেহেদী হাসান মিশির ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

মেহেদী হাসান মিশির ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) সেনবাগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক দেশের পত্র পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু’র ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন পরিবার-পরিকল্পনা কেন্দ্র ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সহকারী হেল্প কেয়ার কর্মকর্তা আলা উদ্দিন ও তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।এতে সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু মারাত্মকভাবে জখম হন।গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় আলা উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা এ হামলা করে।এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় মোঃরেজাউল করিম রাজু বাদী হয়ে ১.আলা উদ্দিন(৫২),২.নাজিম উদ্দিন(৬০), উভয় পিতা মৃত দারবক্স,৩.রেহানা আক্তার প্রকাশ মায়া(৪০),স্বামী আলা উদ্দিন,৪.আবদুল করিম প্রকাশ সজিব(২০),৫ আবদুল আহাদ প্রকাশ সানজিদ(১৮),৬.রাবেতা শাওরিন প্রকাশ তিশা(২৪) উভয় পিতা আলা উদ্দিন সহ মোট ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে এগারোটার দিকে সেনবাগ থানাধীন বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে জমিজমা বিরোদের জের ধরে মোহাম্মদ ফারুকের সাথে একই বাড়ির আলা উদ্দিন, মো নাজিম উদ্দিন,আবদুল করিম সজিব,আবদুল আহাদ সানজিদ,রেহানা আক্তার মায়া,রাবেতা শাওরিন তিশা সহ আরো বেশ কয়েকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ-সময় সংবাদ কর্মী রেজাউল করিম রাজু দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আলা উদ্দিনের লোকজন রাজু’র উপর বর্গীয় হামলা চালায়। এসময় তারা রাজু’র হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে রাজু’র পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের ভাড়াটে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।জানা যায় ফারুকের সৎভাই আলা উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন ভূমিদস্যু ও ভূমিগ্রাসী৷দীর্ঘ দিন ধরে ফারুকের খরিদা সম্পত্তি বসতঘরের উঠান জোরপূর্বক বেআইনি ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ কেটে ফেলেন এবং দখল করার চেষ্টা করেন৷সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু বলেন,ভূইয়া বাড়ির মৃত দারবক্স এর সেজো ছেলে মোঃফারুক তার বসত ঘরের উঠানের উপর হাঁস-মুরগির জন্য প্লাস্টিকের জাল দিয়ে গেরাও দিতে দিলে তাঁর সৎভাই আলা উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন বাধা দেন৷এক পযার্য়ের নাজিম উদ্দিন ও আলা উদ্দিন ফারুকের জাল খুলে ফেলে দেন এবং ফারুক ও তাঁর স্ত্রী রজবের নেছার উপরে হামলা করে মারধর করেন৷বিষয়টি আমি অবগত হলেই ঘটনাটি আমার বসত বাড়ীর সন্নিকটে হওয়ায় আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই৷ বড় ধরনের দূঘর্টনার আশঙ্কায় পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে আমি মারামারির ঘটনাটি আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারন করার চেষ্টা করি৷মারামারির দৃশ্যটি ভিডিও করার কারণে প্রথমে আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে কিল,ঘুষি,লোহার রড,লাঠি সোটা দিয়া এলোপাতাড়ী পিটাইয়া আমার সমস্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও পরনে থাকা টি-শার্ট ছিড়ে ফেলে৷স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এদিকে হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনবাগ থানার এ.এস.আই লোকেন মহাজন৷এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনবাগের কর্মরত সাংবাদিকরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএমএসএফ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আহামেদ আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান ও বিভিন্ন জেলা উপজেলা সহ সেনবাগ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক নেতারা।এব্যাপারে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃনাজিম উদ্দিন জানান,ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নোয়াখালী সেনবাগে সংবাদ সংগ্রহ কালে গণমাধ্যমকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা!,

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মেহেদী হাসান মিশির ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) সেনবাগ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক দেশের পত্র পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু’র ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন পরিবার-পরিকল্পনা কেন্দ্র ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সহকারী হেল্প কেয়ার কর্মকর্তা আলা উদ্দিন ও তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।এতে সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু মারাত্মকভাবে জখম হন।গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় আলা উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা এ হামলা করে।এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় মোঃরেজাউল করিম রাজু বাদী হয়ে ১.আলা উদ্দিন(৫২),২.নাজিম উদ্দিন(৬০), উভয় পিতা মৃত দারবক্স,৩.রেহানা আক্তার প্রকাশ মায়া(৪০),স্বামী আলা উদ্দিন,৪.আবদুল করিম প্রকাশ সজিব(২০),৫ আবদুল আহাদ প্রকাশ সানজিদ(১৮),৬.রাবেতা শাওরিন প্রকাশ তিশা(২৪) উভয় পিতা আলা উদ্দিন সহ মোট ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে এগারোটার দিকে সেনবাগ থানাধীন বিষ্ণুপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে জমিজমা বিরোদের জের ধরে মোহাম্মদ ফারুকের সাথে একই বাড়ির আলা উদ্দিন, মো নাজিম উদ্দিন,আবদুল করিম সজিব,আবদুল আহাদ সানজিদ,রেহানা আক্তার মায়া,রাবেতা শাওরিন তিশা সহ আরো বেশ কয়েকজন মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ-সময় সংবাদ কর্মী রেজাউল করিম রাজু দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আলা উদ্দিনের লোকজন রাজু’র উপর বর্গীয় হামলা চালায়। এসময় তারা রাজু’র হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে রাজু’র পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের ভাড়াটে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।জানা যায় ফারুকের সৎভাই আলা উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন ভূমিদস্যু ও ভূমিগ্রাসী৷দীর্ঘ দিন ধরে ফারুকের খরিদা সম্পত্তি বসতঘরের উঠান জোরপূর্বক বেআইনি ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ কেটে ফেলেন এবং দখল করার চেষ্টা করেন৷সাংবাদিক মোঃরেজাউল করিম রাজু বলেন,ভূইয়া বাড়ির মৃত দারবক্স এর সেজো ছেলে মোঃফারুক তার বসত ঘরের উঠানের উপর হাঁস-মুরগির জন্য প্লাস্টিকের জাল দিয়ে গেরাও দিতে দিলে তাঁর সৎভাই আলা উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন বাধা দেন৷এক পযার্য়ের নাজিম উদ্দিন ও আলা উদ্দিন ফারুকের জাল খুলে ফেলে দেন এবং ফারুক ও তাঁর স্ত্রী রজবের নেছার উপরে হামলা করে মারধর করেন৷বিষয়টি আমি অবগত হলেই ঘটনাটি আমার বসত বাড়ীর সন্নিকটে হওয়ায় আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই৷ বড় ধরনের দূঘর্টনার আশঙ্কায় পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে আমি মারামারির ঘটনাটি আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র ধারন করার চেষ্টা করি৷মারামারির দৃশ্যটি ভিডিও করার কারণে প্রথমে আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে কিল,ঘুষি,লোহার রড,লাঠি সোটা দিয়া এলোপাতাড়ী পিটাইয়া আমার সমস্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এবং আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও পরনে থাকা টি-শার্ট ছিড়ে ফেলে৷স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এদিকে হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনবাগ থানার এ.এস.আই লোকেন মহাজন৷এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনবাগের কর্মরত সাংবাদিকরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএমএসএফ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আহামেদ আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান ও বিভিন্ন জেলা উপজেলা সহ সেনবাগ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক নেতারা।এব্যাপারে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃনাজিম উদ্দিন জানান,ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।অভিযোগ তদন্ত করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।