
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি -মোঃখাদেমুল ইসলাম”
পঞ্চগড় -১ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে
আওয়ামী লীগে পাঁচটি গ্রুপ এখনো সক্রিয় আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ আসনে আওয়ামী লীগের পাঁচটি গ্রুপ রয়েছে। শুধু মূল দল আওয়ামী লীগেই নয়, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনেও একই অবস্থা।দলীয় একটি সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মজাহারুল হক প্রধান এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাস আলী, আরিফুল ইসলাম পল্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাবুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, হারুন অর রশিদ সেলিম, আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু,
চেয়ারম্যান মুসা কলিমুল্লাহসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষে রাখার চেষ্টা করছেন। প্রায় সময়ই এখন মাঠে থাকেন। দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি তার পক্ষের লোকজনদের নিয়ে সভা সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন।
কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য
আব্দুল লতিফ তারিন তিনি জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজু, জেলা কৃষকলীগের
সাধারন সম্পাদক মাসুদ করিম, ইউপি চেয়ারম্যান কুদরতি ই খুদা মিলন,ইউপি চেয়ারম্যান সোলেমান আলী,ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামসহ
আওয়ামী লীগ,কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ
যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
নাঈমুজ্জামান মুক্তা মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহাবুবুর রহমান মাহবুব, সাবেক মহিলা এমপি ফরিদা আকতার হীরা, ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মকলেছার রহমান মকলেছ, নায়বুল ইসলাম, কামরুজ্জামান শেখ মিলন, সাইফুল আলম বাবু, রওশন জামিল চৌধুরী ডলার, বিপেন চন্দ্র রায় বিপেন মাস্টারসহ বেশ কিছু আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
সাবেক স্পিকার ও আইনমন্ত্রী মরহুম মির্জা গোলাম হাফিজের জামাই, জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, ফজলে নুর বাচ্চু, মো. আব্দুর রব, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান, কামরুজ্জামান কামু, আনিছুর রহমান, আইয়ুব আলীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন। তিনিও বিভিন্ন ব্যক্তি, ক্লাব, প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ,মক্তব, মন্দিরে দান-অনুদানসহ এলাকার মানুষের পাশে থাকছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু তোয়াবুর রহমান, আমিরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির উজ্জ্বল, জুলফিকার আলী জুলি, মায়নউদ্দিন ইসলাম,ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিক,
যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ, উঠোন বৈঠক ও শোডাউন করছেন। নবীন-প্রবীণ নেতাকর্মীদের নিয়ে উন্নয়ন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তরুণ সংগঠক আনোয়ার সাদাত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ও উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তিনিও কোন্দল ও অসন্তোষ নিরসন করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। বরং যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে মূল দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসন না হলে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের পক্ষে কাজ করবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, তরুণ প্রজন্ম এবং স্থানীয় মানুষের ভালোবাসাই আমার ভরসা। আওয়ামী লীগের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি মনোনয়ন চাইবো। আগামী দিনে ক্লিন ইমেজের এবং তরুণ নেতৃত্ব খুঁজলে আওয়ামী লীগ আমার প্রতি আস্থা রাখবে। সেক্ষেত্রে আমি আমার সততা এবং যোগ্যতা নিয়েই জনগনের পাশে দাঁড়াতে পারবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মজাহারুল হক প্রধান বলেন, আমি ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। এ কারণে তিনি এবারও আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আমি আশাবাদী। মানুষের মনের কথা আমি বুঝি। মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করবেন।
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত বলেন, বিগত নির্বাচনে আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী। আমাকে নৌকা প্রতীক দিলে সাধারণ মানুষের সমর্থনে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবো বলে আশা করছি।
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সব নেতাকর্মী ও সমর্থক একত্রিত হবে।