
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নী ইউনিয়নের সিংগিপাড়া বাজার সংলগ্ন মসজিদের পার্শ্বে ১৭ শতাংশ জমিতে বাংলাদেশের সর্বচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এলাকার প্রভাব বিস্তার করে নালিশি জমি দখল করে ওয়াল বাউন্ডারী ভেঙ্গে ফেলে মার্কেট নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বুক ফুলিয়ে। ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ বার বার টুঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ করেও কোন সূফল সে পায়নি। প্রভাবশালী ও নেতাদেরে আশ্রয়ে জোর দখল করে কর্মকান্ড চলিয়ে যাচ্ছে এই ভুমি দস্যূরা।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, নালিশিন ভুমির নিচু জায়গায় ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ (মাস্টার) প্রায় তিন লক্ষ টাকার বালু ও জায়গার কয়েক পাশে ওয়াল বাউন্ডারী করে রেখেছিল আগে থেকেই।তার ইচ্ছা ছিল পরে সময় সুযোগ করে ঐ জায়গায় কাজ করবে। অপর দিকে ভুমিদস্যু চক্রের একই এলাকার কাওসার খাঁ এর ছেলে নাজমুল খাঁ, সোহেল খাঁ, খায়রুল খাঁ, বাবর খাঁ সহ রেজাউল বিশ্বাস জোর দখল করে ভুক্তভোগীর দেওয়া ওয়াল বাউন্ডারী ভেঙ্গে ঐ জায়গার উপর মার্কেট নির্মান করছে।
ভুক্তভোগী মোঃ আবুল কালাম আজাদ দৈনিক ভোরের বানীকে এক ভিডিও বক্তব্যর মাধ্যমে বলেন, ২০১১ সালে সিংগিপাড়া বাজার মসজিদ সংলগ্ন আর এস ১৮২৭ বি,আর, এস ৫০২৮ দাগের এই জমি ক্রয় করে বালু ভরাট করে ওয়াল বাউন্ডারী করে রেখে দেই। পরবর্তীতে সময় সুযোগ পেলে কাজ করবো ।
জায়গা জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূমি দসূদের নজরে পড়ে যায় ঐ জমি। তার পরবর্তীতে ঐ জমি জোর দখল করে নেয় এবং আমার দেওয়া ওয়াল বাউন্ডারী ভেঙ্গে ফেলে তারা মার্কেট নির্মানের কাজ শুরু করে। আমি নিরুপায় হয়ে হাইকোর্টে দায়ের মামলা করি। মহামান্য হাইকোর্ট এই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। ভুমিদস্যুরা হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার জায়গায় জোর করে মার্কেট নির্মান করছে। তারা টাকার বিনিময়ে এলাকার কতিপয় মাতবর ও টুঙ্গিপাড়া থানার কতিপর দারোগাকে ম্যানেজ করে কাজ চলমান রেখেছে। আমি আমার নামিয় দলিলিয় সম্পত্তি ফেরৎ পেতে চাই। আমি জমি সংস্লিস্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করা সহ বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিআকর্ষন করছি।